বিজয়ের প্রথম সকাল হবে রাজাকার মুক্ত!

PIN বিজয়ের প্রথম সকাল হবে রাজাকার মুক্ত!বিজয়ের প্রথম সকাল হবে রাজাকার মুক্ত!

জ্ঞান হওয়ার পর থেকে- যখন বুঝেছি স্বাধীনতা মানে কি, যুদ্ধ কি, স্বাধীনতা কিংবা বিজয় দিবস কি, তখন থেকে আজ অবধি একটি কথা মনের ভেতর ঘুরপাক খেতো- আচ্ছা এই দিবস গুলোতে রাজাকাররা কি করতো? সমগ্র জাতি যখন এ দিবস গুলো পালন করে তখন ওরা কি করে? সব টেলিভিশনে তাদের কুকীর্তির কথা প্রচার করা হয় তখন তাদের সন্তানরা কি করে? নিজেদের কলঙ্কিত অধ্যায় কি করে লুকায় তারা?

ছোট থেকে যতো বড় হয়েছি, এই প্রশ্নগুলোর উত্তর জানার আগ্রহ ততো বেড়েছে। যখন শাহবাগ আন্দোলনের মাধ্যমে রাজাকারদের বিচারের দাবিতে “জয় বাংলা” স্লোগানে গোটা পৃথিবীতে ছড়িয়ে থাকা বাঙালিরা আরেকবার জেগে উঠেছিল তখন আমার মনের কোণেও একটি আশার আলো জেগে উঠেছিল যে একদিন স্বাধীনতা দিবসের প্রথম সূর্য উঠবে রাজাকার বিহীন।

আজ সত্যিই তাই হলো। ২০১৬ সালের ১৬ ডিসেম্বর ভোরের আলোয় বিজয়ের পতাকা উঠবে রাজাকার মুক্ত স্বাধীন দেশে। রাজাকারদের যখন বিচার শুরু হলো তখন অনেকেই সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন। অনেককেই বলতে শুনেছি “এগুলো আইওয়াশ, বিচার হবে না”।  বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, “বাংলার মাটিতে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হবেই”। তাঁর সুযোগ্য কন্যা সেই বিচার করে দেখিয়েছেন। এই বিচার প্রক্রিয়ার শুরু থেকেই দেখেছি আমাদের দেশের কিছু কিছু গণমাধ্যম রাজাকার পরিবারকে হাইলাইটস করার অপচেষ্টা করেছে। বার বার শহীদদের সন্তানদের জিজ্ঞেস করতে দেখেছি- আপনার অনুভূতি কি? দেখেছি মিডিয়ার সামনে রাজাকার-আলবদরদের পরিবারের লোকজনদের আস্ফালন। আজ বিজয়ের ৪৫ বছরে আমাদের গণমাধ্যমগুলো কি একবার স্বাধীনতা বিরোধীদের পরিবারকে জিজ্ঞেস করবেন- আপনাদের অনুভূতি কি?

দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে প্রাণ হারানো ত্রিশ লাখ শহীদ এবং নির্যাতিত আড়াই লাখ মা বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত এই স্বাধীন দেশে রাজাকার মুক্ত বিজয় দিবসের একটি সকাল এইবারই প্রথম। অভিনন্দন সকল যোদ্ধাকে, অভিনন্দন শাহবাগ আন্দোলনে সম্পৃক্ত সকলকে। অভিনন্দন সমস্ত পৃথিবীতে ছড়িয়ে থাকা বাঙালিকে। অভিনন্দন হে নতুন বাংলাদেশ। অভিনন্দন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগকে রাজাকারের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার জন্যে।